বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বামপন্থী? রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে এখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ এমনই দাবি করে বসেছেন। এমনকী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সবচেয়ে বড় বামপন্থী বলে দাবি করেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবাসরীয় বিকেলে তিনি চুঁচুড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে প্রকাশ্যেই এই দাবি করেছেন তিনি। একদা তিনি সিপিআইএমে ছিলেন। তখন রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। অধুনা তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন। তাও বাবার আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি। কিন্তু তাঁর এই দাবিতে বেজায় চটেছে সিপিআইএম নেতারা।
ঠিক কী বলেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়? চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে দলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সম্মেলনে ঋতব্রত বলেন, ‘বামপন্থা কোনও রবার স্ট্যাম্প নয়। বামপন্থা একটি মতবাদ। বাংলার মানুষ মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বড় বামপন্থী। তাই তাঁকে সমর্থন করছেন।’ এই মন্তব্য চাউর হতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে সিপিআইএম এবং বামপন্থী নেতারা।
এই বিষয়ে সিপিআইএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার তো বলেছেন। এরপর কোনও দিন দিলীপ ঘোষ হয়তো বলবেন নরেন্দ্র মোদী সব থেকে বড় বামপন্থী।’ সিপিআইএমে থেকে সেখান থেকে উত্থান হওয়ার পর এই মন্তব্য অনেক সিপিআইএম নেতারাই মেনে নিতে পারেননি। যেমন অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাসের কলম ধরা অনেকে মেনে নিতে পারেননি। ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামীর প্রতিবাদ অনেকে মেনে নিতে পারেননি। তেমনি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিও তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।