দত্তপুকুরের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি’তে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের উপস্থিতিতে তৃণমূল নেতার হাতে চড় খেয়েছেন সাগর বিশ্বাস নামক এক ব্যক্তি। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে আজ সকালে। এই নিয়ে আজ সকাল থেকে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়ে মন্ত্রী নিজে 'ব্যক্তিগত এজেন্ডা'র প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। এই আবহে প্রশ্ন ওঠে, কে এই সাগর বিশ্বাস? আক্রান্ত ব্যক্তির দাবি, তিনি স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য। আর সেই মন্দির সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। এদিকে মন্ত্রী নিজে দাবি করেন, 'শুনলাম তিনি (সাগর বিশ্বাস) বিজেপির মণ্ডল কমিটির সদস্য।' (আরও পড়ুন: 'আমি সব বুঝি', বাংলায় আবাস যোজনার দুর্নীতি দেখে মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী)
এদিকে নিজের অভিযোগ প্রসঙ্গে আক্রান্ত সাগর সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি স্থানীয় মন্দির কমিটির এক জন সদস্য। মন্ত্রী আসবেন শুনে কমিটির পক্ষ থেকে মন্দির সংক্রান্ত কয়েকটি কথা বলতে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। মন্দির কমিটির অন্য সদস্যরাও ওখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মূলত মন্দিরের সামনের রাস্তা এবং নাটমন্দির নিয়ে তৈরি হওয়া কিছু সমস্যার কথা বলতে গিয়েছিলেন। সাগরের অভিযোগ, হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে মারধর করা হয়। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, এক তৃণমূল কর্মী সাগরকে মারার পাশাপাশি গালিগালাজও করেন। এদিকে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ নিজে। তবে পাশাপাশি 'ব্যক্তিগত ঝামেলা'র তত্ত্ব খাড়া করেছেন তিনি। এদিকে সাগর বিশ্বাসকে মারধর করার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির দাবিতে বারাসত-ব্যারাকপুর রোড অবরোধ করে বিজেপি সমর্থকরা।
চড়কাণ্ড নিয়ে প্রথমে মন্ত্রী বলেন, 'আমি দেখিনি এটা।' তিনি বলেন, 'যদি এটা হয়ে থাকে, তাহলে তা ঠিক হয়নি।' পরে মন্ত্রী বলেন, 'আমার কাছে তো মহিলারা গেলেন (কথা বলতে)। অপেক্ষা করতেন (অভিযোগ জানাতে গিয়ে চড় খাওয়া যুবক)। আমি তো বের হচ্ছিলাম। আমাদের তো এটা (অভিযোগ শোনা) কাজ নয়। আমরা এই উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। আমরা সকলের অভাব অভিযোগ শুনব। তবে ব্যক্তিগত কোনও এজেন্ডা যদি থাকে এই প্রোগ্রাম বানচাল করার, তাহলে তো অন্যরকম বিষয়।' মন্ত্রী বলেন, 'সুরক্ষা কবচে যা যা আছে, তা তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার কেউ কেউ ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে এসেছেন এখানে। এটাও মাথায় রাখতে হবে। এই অভিযোগগুলি জানানোর জন্য আরও অনেক ব্যবস্থা ছিল। সেটা না জানিয়ে, খেলার মাঠে কে গাছ কেটেছে, আজকে এই সমস্যা আসবে কেন? এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা কেন জড়াব এতে।'
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup