এবার নদিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে শুটআউট। এখানের থানারপাড়ার পিয়ারপুরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাসিবুল মণ্ডলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুনের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৯ জনকে। এই ঘটনায় একটি নাইন এম এম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। এই হাসিবুল প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ৯ জন গ্রেফতারের মধ্যে প্রাক্তন প্রধান তার স্বামী–সহ পাঁচজন মহিলা ও চারজন পুরুষ রয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে নদিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনার সূত্রপাত থানারপাড়া থানায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। সেখানে সই কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে গ্রামবাসীদের দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তারপর গ্রামে ফিরতেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ওপর হামলা চালায় অপর পক্ষ। তার জেরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার পায়ে গুলি লাগে। হামলার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকের থানারপাড়া থানার অধীনে নারানপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তিয়ারপুর গ্রাম। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাসিবুল তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত পলাতক।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। টাকা দিল্লি থেকে খুব আসছিল। লুটপাট হচ্ছিল। এখন টাকা কমে গিয়েছে। কাটমানি কমে গিয়েছে। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি চলছে। আর এখন সেই পার্টিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্টি বাঁচাতে গেলে বাংলাটা ডুবে যাবে।’