সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শহরে মারাত্মক বেড়েছে মাদকের ব্যবসা। ফলে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ বলে অভিযোগ। ইদানিং শহরে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই, কেপমারির মতো ঘটনা। অভিযোগের পাহাড় জমছে থানায়। এই মাদক কারবারের পিছনে কারা রয়েছে তার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বোন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে।
ঠিক কী ঘটেছে এখানে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বেড়ে চলা এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে পুলিশের দরজায় কড়া নাড়ে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক দলের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ তদন্তে নেমে মৌচাকে ঢিল মারতেই বেরিয়ে পড়ল তৃণমূল নেতার বোনের নাম। এমনকী তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে মাদক কোথায় যেত তা খুঁজছে পুলিশ।
কিভাবে গ্রেফতার করা হল? পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় জলপাইগুড়ির ২ নম্বর ঘুমটি এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। নির্দিষ্ট একটি তথ্যের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে অভিযান চালানো হয়। আর তখনই গ্রেফতার করা হয় এক মহিলা মাদক কারবারিকে। ধৃত মহিলা মাদক কারবারির নাম লালটি পাশোয়ান। তৃণমূল কংগ্রেসের খেত মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি ধরম পাশোয়ানের বোন। পুলিশের জালে ধরা পড়েও মেজাজ দেখাচ্ছিলেন। তখন চ্যাংদোলা করে তাঁকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধরম পাশোয়ান কী বলছেন? এই ঘটনার পরই তাঁর দাবি, গত ২০ বছর ধরে বোনের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। মাদকের কারবারের বিরুদ্ধে আমি দলের পক্ষ থেকে কয়েকবার পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। আর পুলিশ তদন্তে নেমে ধরেছে। আইন আইনের পথে চলবে। উল্লেখ্য, গত বুধবার জলপাইগুড়ি শহর থেকে দুই কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাদক দ্রব্য।