বিদ্যুৎহীন গ্রামে আলো আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। তার পর থেকেই গ্রামীণ মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছেন তিনি। অধিকারী গড়ে দায়িত্ব পেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। মানুষও এখন সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছেই ছুটে যাচ্ছেন। চটজলদি সমাধানের তিনিই এখন মসিহা। হলদিয়ার দু’টি গ্রামে বিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার দিঘার সমুদ্র ভাঙনের সমস্যা নিয়ে রবিবার মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আর তার পরই ফোন করলেন সেচমন্ত্রীকে। ফোন রেখেই মৎস্যজীবীদের জানিয়ে দিলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেচমন্ত্রী নিজে এলাকায় এসে খতিয়ে দেখবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।
ঠিক কী ঘটেছে দিঘায়? যে কাজ ৩৪ বছরের বাম জমানায় হয়নি, অধিকারী পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব দিয়েও মেলেনি পরিষেবা—সেটাই এবার করে দেখাতে চলেছেন কুণাল ঘোষ। আজ, রবিবার সকালে দিঘা মোহনায় চা–চক্রে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরিও। সেখানে মৎস্যজীবী এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। সমুদ্র ভাঙন নিয়ে অভিযোগ শোনেন কুণাল ঘোষ। আর ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন তিনি।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই সমস্যার কথা শুনে এবং নিজে চোখে সব দেখে এক মুহূর্তও দেরি করেননি শাসকদলের মুখপাত্র। তড়িঘড়ি পকেট থেকে নোবাইল ফোন বের করে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেচমন্ত্রী এই এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়ে দেন কুণাল ঘোষকে। এমনকী জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সেসব কথা জানিয়ে দেন সৈকতবাসীদের। আর তাতেই আনন্দে আপ্লুত তাঁরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মানুষের বকেয়া কাজ ফেলে রাখতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ ডিসেম্বর কাঁথির সভায় এসে এখানের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিকে বরখাস্ত করেছিলেন তিনি। কারণ মানুষ কাজ পায়নি। এমনকী জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হলদিয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না স্বাধীনতার পর থেকে। কুণালের উদ্যোগে ওই গ্রাম দু’টিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এবার দিঘা মোহনার সমুদ্র ভাঙন থেকেও মুক্তি মিলবে বলে মনে করছেন সৈকত নগরীর বাসিন্দারা।