কয়েকদিন আগেই চাপড়ায় জনসমাবেশ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বামেদের সেই সভার পালটা সভার ডাক দেয় তৃণমূল। রবিবার চাপড়া নতুন বাস বাসস্ট্যান্ডে সেই সভাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক রূকবানুর রহমানের উপস্থিতিতে। সেই সভা থেকেই বিরোধীদের বাড়ি থেকে বের না হতে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন চাপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম।
মন্ত্রী, বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েই প্রকাশ্য জনসভায় শুকদেব ব্রহ্মকে বলতে শোনা গেল, ‘ভোটের দিন বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের সমর্থকদের বাড়ি থেকে বেরোতে দেব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোট হবে ভয় মুক্ত পরিবেশে, শান্তিপূর্ণভাবে। সিপিএম-বিজেপি সহ অন্যান্য যাঁরা দল আছে তাঁদের বলব আপনারা ভোটে লড়ুন কোনও অসুবিধা নেই। ৩৬৪ দিন মানুষের কাজ করে ভোটে লড়ুন। তৃণমূল কংগ্রেস সারা বছর মানুষের পাশে থাকবে। আর আপনারা একদিন এসে ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়ে চাপড়াকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন সেটা আমরা মানব না।’
উল্লেখ্য, এই শুকদেবের বিরুদ্ধেই কয়েকমাস আগে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এক যুবককে চাকরি দিতে নাকি ১২ লাখ টাকা আত্মস্যাৎ করেছিলেন। এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হৃদয়পুর গ্রামে সিবিআই তদন্ত করতে গেলে আধিকারিকদের আটকানোর নেপথ্যেও ছিলেন এই শুকদেব। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি নেতা ধর্ম মণ্ডল খুনে মূল অভিযুক্ত তিনি। এর আগেও ২০১৩ সালে সিপিএম নেতা আসাদুল শেখ খুনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অবশ্য এই সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন শুকদেব ব্রহ্ম।
এদিকে শুকদেবের ‘বিতর্কিত মন্তব্যে’র ব্যাখ্যা দিয়ে বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, ‘আমি মঞ্চে বসে বক্তব্য শুনেছি। ও বলেছে যদি সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা হলে প্রতিরোধ হবে।’ এদিকে তৃণমূল নেতা ব্রহ্ম নিজে বলছেন, ‘সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা হলে গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সাধারণ মানুষ, আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’