বহিষ্কার থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করলেন আরও ১ তৃণমূল নেতা। দক্ষিণ দমদমের পর এবার মালদার ইংরেজবাজারে। নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়াই করায় স্ত্রী কাকলি চৌধুরীকে ডিভোর্স দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন বিদায়ী কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী। যদিও বিরোধীদের দাবি, পুরোটাই নাটক।
ইংরেজবাজারের রাজনীতিতে চৌধুরী দম্পতি পুরনো খিলাড়ি। ২০০৫ সালে বাম প্রার্থী হিসাবে কাউন্সিলর হয়েছিলেন কাকলিদেবী। ২০১৫ সালে বাম প্রার্থী হিসাবে কাউন্সিলর হন পরিতোষবাবু। এর পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি।
তৃণমূলের প্রথম প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় তাতে রয়েছে কাকলিদেবীর নাম। দ্বিতীয় প্রার্থীতালিকায় নাম বাদ যায়। এর পর ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়ান তিনি। ওদিকে তৃণমূলের তরফে হুলিয়া জারি হয়, ভোটের ময়দান থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কার করবে দল। ধর্মসংকটে পড়ে স্ত্রী কাকলি চৌধুরীকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন পরিতোষবাবু।
তাঁর দাবি, স্ত্রী কোনও দিন তৃণমূলে যোগদান করেননি। তিনি বামপন্থী রাজনীতি করেন। তাই এই বিচ্ছেদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তৃণমূলে যোগদান না করা এক ব্যক্তির নাম কী করে দলের প্রার্থীতালিকায় এল তার জবাব দিতে পারেননি তিনি।
কাকলিদেবীর দাবি, মানুষ আমাকে চায়। তাই ভোটে দাঁড়িয়েছি। এর সঙ্গে প্রার্থীতালিকায় নাম থাকা না থাকার সম্পর্ক নেই।
বিরোধীদের দাবি, গোটাটাই নাটক। দল থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন বুঝে ডিভোর্সের নাটক করছেন স্বামী-স্ত্রী।