রাজ্যে এখন যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি। তারপরেও বিজেপি নেতাদের বাড়িতে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। নন্দীগ্রামের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের বাড়িতে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজেপির পদ ছেড়েছেন যাঁরা, নন্দীগ্রামের সেইসব বিক্ষুব্ধ নেতাদের বাড়িতে গিয়েছেন শাসকদলের নেতারা। এই নেতারা এখনও পর্যন্ত কোনও দলে যোগ দেননি। তাই তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন তাঁরা। খোদ বিরোধী দলনেতার ঘাঁটিতে এই ঘটনা ঘটায় চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারী জিতলেও সেখানকার আদি বিজেপি নেতাদের তিনি আর পাত্তা দিচ্ছেন না। কোনও সমস্যার কথা শুনছেন না। তাই দুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়দেব দাস এবং বটকৃষ্ণ দাস। এবার তাঁদের বাড়িতে যান নন্দীগ্রামের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ–সহ জেলার নেতারা। বিষয়টিকে দু’পক্ষই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন।
আর কী ঘটেছে এখানে? ইতিমধ্যেই পাঁশকুড়ার চার বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের কনভেনার সিন্টু সেনাপতি–সহ চারজনকে বহিষ্কার করেছে বঙ্গ–বিজেপি। দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার জন্য পাঁশকুড়ার চারজন বিজেপি নেতাকে বহিষ্কার করেছে। অভিযোগ, সিন্টু সেনাপতি–সহ কয়েকজন বিজেপি নেতা জেলা সভাপতিকে মারধর করেন। তাই এই পদক্ষেপ।
কাদের বহিষ্কার করা হয়েছে? দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে বিজেপি পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সিন্টু সেনাপতি, প্রাক্তন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি রাজ্য বিজেপি নেতা এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক প্রতীক পাখিরা, প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তথা জেলা বিজেপি কমিটির সদস্য উত্তম সেনা ও বিজেপি নেতা কৌশিক জানাকে দল থেকে বরিষ্কার করে বিজেপি।