একসঙ্গে আত্মঘাতী হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও ছেলে। বুধবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে। দিনহাটা মহকুমার গীতালদহ ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিথিকা বর্মনের স্বামী প্রদীপ বর্মন ও ছেলে চন্দ্রশেখর বুধবার ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের পার্থপ্রতীম গোষ্ঠী কাঠগড়ায় তুলেছে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ গোষ্ঠীকে।
জেলার রাজনীতিতে তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত বিথিকা ও প্রদীপ। বুধবার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস কোচবিহার থেকে দিনহাটা যাওয়ার পথে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন বাবা ও ছেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। জোড়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে কোচবিহারের রাজনীতিতে। অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ গোষ্ঠীর চাপেই চরম পথ বেছে নিয়েছেন বাবা ও ছেলে।
মাসখানেক আগে বিথিকা দেবীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূলেরই জগদীশ বর্মা বসুনিয়া গোষ্ঠী। এর পর পঞ্চায়েত প্রধান করা হয় মোক্তার নামে এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, তার পর থেকেই প্রদীপবাবু ও চন্দ্রশেখরের কাছে টাকা চাইছিলেন জেলা পরিষদের এক সদস্য। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।
জোড়া আত্মহত্যার জন্য জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলমকে দায়ী করেছেন দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আবু আল আজাদ।