বিজেপিতে যোগদানের পর নন্দীগ্রামে কি শুভেন্দু অধিকারীর দাপট থাকবে? তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ করা হচ্ছিল। এবার সেই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে পালটা দিলেন শুভেন্দু। তাচ্ছিল্যের সুরে শুভেন্দুর মন্তব্য, সৌগত রায়ের মতো তৃণমূলের নেতারা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছে।
সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবার নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত ‘অরাজনৈতিক’ সেই ধর্মীয় মিছিলে যোগ দেন। হুডখোলা জিপে ছিলেন। তাতে ঢল নামে আমজনতার। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির পতাকায় কোনও জনসভা করার আগে নন্দীগ্রামে নিজের প্রভাব কতটা, সেই জল মেপে নিতে চাইছিলেন তিনি। বিশেষত তৃণমূল শিবিরের তরফে যে আক্রমণ করা হচ্ছিল, তারও পালটা দেওয়ার সুযোগ ছিল। সেই পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাশ করেছেন বলে বিজেপির দাবি।
তাতেই যেন আরও স্বস্তি পেয়েছেন শুভেন্দু। সেই রেশ ধরে তিনি জানান, মিছিলের ছবি দেখলেই তৃণমূল বুঝতে পারবে যে কত মানুষের ভিড় হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেন, ‘এখানকার দেশপ্রেমিকরা সনাতনী প্রথায় আমায় গ্রহণ করলেন, বরণ করলেন। আমি হিন্দু ব্রাক্ষণ পরিবারের ছেলে। আমি হিন্দু ধর্ম পালন করব। যতদিন জনপ্রতিনিধি ছিলাম, ততদিন মানবধর্ম পালন করেছি।’ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘সে তো বলছিল, কাঁথিকে করছে না কেন, অন্য জায়গায় করছে কেন, পরের দিন তো উত্তর দিয়ে দিয়েছি। এসব লোকজনের কথার উত্তর দেওয়া উচিত নয়। উনি (সৌগত রায়) বয়সে বড়, শিক্ষক, সম্মান করি। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে এরা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছেন।’
পাশাপাশি নিজের নয়া ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে / বিজেপি সবার ঘরে’ স্লোগানের প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান, চৈতন্যদেবের ভাবধারায় বাংলায় অনেকে উদ্বুদ্ধ। বলেন, ‘যিনি রাম ও তিনিই কৃষ্ণই।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, গো-বলয়ের মতে বাংলায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ততটাও প্রভাবশালী নয়, বরং ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে'-এর সঙ্গে নিজেদের স্লোগান মিশিয়ে দিয়ে বাঙালির ভাবাবেগ ধরার চেষ্টা করছে বিজেপি।