আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তার পর থেকে গোটা রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের আচরণ ও ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সিভিক ভলান্টিয়ার শব্দটি উচ্চারণ না করলেও চুক্তির ভিত্তিতে পুলিশকর্মী নিয়োগ নিয়ে মঙ্গলবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরই মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের ইসালমপুরে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার ভাইঝি ও তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার নাজমুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - ‘আমার মেয়ে দুর্নীতির বলি, আরও অনেকে জড়িত’, সন্দীপ গ্রেফতার হতেই বললেন বাবা
পড়তে থাকুন - ‘প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি’, সন্দীপের গ্রেফতারির পর ইঙ্গিতবহ বার্তা শান্তনুর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনা দিন দশেক আগের। অভিযুক্ত নাজমুল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ভাইঝির কাছে তোলা চান বলে অভিযোগ। দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় তৃণমূল নেতার ভাইঝি ও তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি করে নাজমুল। বিষয়টি প্রথমে চেপে গেলেও সোমবার ইসলামপুর থানায় নাজমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। এর পর নাজমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডে অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল টিএমসিপি, দায় এড়াতে মরিয়া শাসকদল
আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের সমস্ত থানার কাছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট’ চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার। এরই মধ্যে একাধিক ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম জড়িয়েছে। সিঁথিতে প্রতিবাদীদের মধ্যে মত্ত অবস্থায় বাইক চালিয়ে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে এস সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়িতে তিস্তার পাড়ে ব্রাউন সুগার টানতে গিয়ে ধরা পড়েছে তেমনই একজন। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘এখানে চুক্তিতে পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়। গোটা রাজ্যে এরকম কোথাও দেখিনি।’