বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই সবাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক বৈঠক থেকে দলের নেতাদের ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সামনেই হওয়া বৈঠকেই নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন।
সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউজের বৈঠকে জেলার দুই শীর্ষ নেতা একে অন্যের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একে অন্যের বিরুদ্ধে কার্যত হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেন এক শিক্ষক নেতা ও শিক্ষা প্রশাসনের পদে থাকা দলের এক নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক হাল যে মজবুত নয়, তা বুঝতে পারেন অভিষেক। তারপরেই হাল ধরার চেষ্টা করেন তিনি।
আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউজে বিধানসভা ধরে ধরে দলের বাছাই করা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক। এমনকী কোর কমিটি ও চা বাগানের নেতাদের নিয়েও বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে অভিষেক আলিপুরদুয়ারের নেতাদের জানিয়ে দেন, জেলার পাঁচটি বিধানসভায় দল ভালো জায়গায় রয়েছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় সাংসদের চেয়ারম্যান গার্গী নার্জিনারি তৃণমূলের স্বার্থে কাজ করছেন না বলে দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার অভিযোগ তোলেন। তা জানতে পেরে সার্কিট হাউজেই ছুটে আসেন গার্গী। পালটা কৌশিকের বিরুদ্ধে বদলি নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলেন তিনি। সবমিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আবার অনৈক্যের সবচেয়ে বড় ছবিটি ফুটে ওঠে চা–বাগান নিয়ে বৈঠকে। সেখানে অভিষেকের সামনেই প্রকাশ্যে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন মোহন শর্মা ও পাসাং লামা বলে সূত্রের খবর। তারপর এই বিষয়ে বাইরে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এই পরিস্থিতিতে বৈঠকের সময়ই অভিষেক স্পষ্ট করে দেন, নিজেদের মধ্যে আকচাআকচি না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কোনও ভুল তিনি শুনবেন না। ফল ভালো হওয়া চাই। তাহলেই তিনি সব শুনতে রাজি। দলের নেতারা তা মেনে নেন।