বাহিনীর 'অত্যাচার'-এর পরেই মানত, ভোটে জিতে জোড়া পাঁঠা বলি তৃণমূলকর্মীদের

এবার কেশিয়াড়িতে দ্বিতীয়বার তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়েছেনন পরেশ মুর্মু। ১৫,০০০-এরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন তিনি।

বাহিনীর 'অত্যাচার'-এর পরেই মানত, ভোটে জিতে জোড়া পাঁঠা বলি তৃণমূলকর্মীদের। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

‌ভোটের দিন মহিলাদের ওপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন গ্রামেরই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। মানত করেছিলেন তাঁরা। ঠিক হয়েছিল ভোটে জিতলে জোড়া পাঁঠা বলি দেবেন তাঁরা। স্বপ্নপূরণের পর শনিবার জয়ী বিধাযককে সঙ্গে নিয়ে পাঁঠা বলি দিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সেইসঙ্গে জানালেন শুভেচ্ছাও।

ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে। এবারে কেশিয়াড়িতে দ্বিতীয়বার তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়েছেনন পরেশ মুর্মু। ১৫,০০০-এরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। সেই উপলক্ষে ডাডরা বুথ এলাকায় পরেশ মুর্মুকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।সংবর্ধনা দিলেও সেদিনের সেই মানতের কথা ভুলে যাননি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।সংবর্ধনা জানানোর পরই জোড়া পাঁঠা নিয়ে কালুয়াষাঁড়ের উদ্দেশে রওনা দেন দলীয় নেতা–কর্মীরা। সামনে মোটর সাইকেলে তৃণমূল কর্মীরা। তারপর বিধায়কের গাড়ি। এরপর নয়াগ্রাম ধর্মীয়স্থান কালুয়াষাঁড়ের কাছে পাঁঠা বলি দেন কর্মী-সমর্থকরা।

এই প্রসঙ্গে কেশিয়াড়ির বিধায়ক বলেন, ‘‌২৭ মার্চ প্রথম দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ডাডরা বুথ এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালায়। মহিলাদেরও অত্যাচারিত হতে হয়েছিল। সবাই এর প্রতিবাদ করেছিল। সেদিনই এলাকার কর্মী-সমর্থকরা জোড়া পাঁঠা বলি দেওয়ার মানত করেছিল।’‌