দলের ভিতরে বিদ্রোহ রুখতে পঞ্চায়েতে ক্ষমতা ভাগাভাগির ফলমুলা চালু করল তৃণমূল। সেই ফরমুলা মেনে মালদা জেলা জুড়ে আড়াই বছর বা তার বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
সম্প্রতি মালদা জেলা জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে শুরু করে তৃণমূলই। অনেক জায়গায় বিজেপির সঙ্গে জো করে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই সদস্যরা। হুইপ জারি করেও অনাস্থা রুখতে কার্যত ব্যর্থ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এমনকী বাকি পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতেও অনাস্থা আনার তোড়জোড় চলছে বলে খবর। সেই সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি ও প্রধানদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
সেই নির্দেশ মেনে মালদার মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আবু কালাম আজাদ। এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১১। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি আসনই দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবুও তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ পঞ্চায়েতের প্রধানকে অপসারণের প্রস্তুতি শুরু করে। এমন খবর চাউর হতেই ময়দানে নামেন এলাকার বিধায়ক তথা ব্লক সভাপতি সাবিত্রী মিত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের দ্বন্দ্ব মেটাতে ক্ষমতায় থাকা প্রধানকে পদত্যাগে নির্দেশ দেন।
তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের এহেন নির্দেশকে বিদ্রোহীদের সামনে মাথা নত করার সামিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এব্যাপারে যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ মালদা জেলা তৃণমূল।