বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পার্টি অফিসে ডেকে বিধায়কের ধমক, কালনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তৃণমূল নেতার

পার্টি অফিসে ডেকে বিধায়কের ধমক, কালনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তৃণমূল নেতার

প্রয়াত বান্দা রাজবংশী।

অভিযোগ, সেজন্য ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর কণিকাদেবীর স্বামী বান্দা রাজবংশীকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠান দেবপ্রসাদ বাবু।

বিধায়কের ধমকে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ কালনায়। প্রয়াত বান্দা রাজবংশী কালনা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরপ্রতিনিধি কণিকা রাজবংশীর স্বামী। বিধায়কের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কণিকাদেবী। তাঁর দাবি, বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগের হুমকিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্বামীর। 

বিধানসভা নির্বাচনে কালনা কেন্দ্র থেকে দলত্যাগী বিশ্বনাথ কুণ্ডুর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জেতেন তৃণমূল প্রার্থী দেবপ্রসাদ বাগ। কিন্তু কালনা পুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। তার মধ্যে অন্যতম ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। 

অভিযোগ, সেজন্য ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর কণিকাদেবীর স্বামী বান্দা রাজবংশীকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠান দেবপ্রসাদ বাবু। সেখানে অন্য দলীয় কর্মীদের সামনে ভোটে পিছিয়ে থাকায় তীব্র ভর্ৎসনা করেন তাঁকে। বলেন, ‘কেন হারল তোর ওয়ার্ড ? বিজেপির কাছে টাকা খেয়েছিস?’ 

কণিকাদেবী জানিয়েছেন, এর পর বাড়ি এসে অপমানে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্বামী। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বান্দা রাজবংশীর। 

মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন আমার স্বামী। দলের কোনও পদে না থাকলেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগের হুমকিতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী দেবপ্রসাদ বাগ। আমি পুলিশে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘প্রয়াত ব্যক্তি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। অনেক নেতা-কর্মীকেই বকাঝকা করি। তাই বলে কারও মৃত্যুতে দায়ী করা ঠিক নয়।’

 

বন্ধ করুন