এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তারপরে গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ২ নেতার গ্রেফতারের ফলে তৃণমূলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আগামী বছরে রয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগেই উত্তরের তিন জেলায় ব্লক সংগঠনে তৃণমূল কংগ্রেস বড়সড় রদবদল নিয়ে আসল।
গতকাল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। যেখানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল মাদার, যুব, মহিলা এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পদে একাধিক নতুন মুখ এবার আনা হয়েছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর দেওয়ার জন্যই এই রদবদল করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তৃণমূল সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি করা হয়েছে মহম্মদ আখতার আলিকে। শিলিগুড়ি মহকুমা নির্বাচনে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। পরে আবার তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন। শিলিগুড়ি ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি করা হয়েছে রামভোজন মাহাতো এবং মানিক দে’কে এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে সংগঠনে রদবদল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে পাঠান। এরপরেই এই রদবদল করা হয়েছে। আগামী বছরে পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। তাই দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সেই সঙ্গে নেতাদের সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষকে বোঝানোর পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক।