দলের নেতারা তাঁর জমি দখল করে নালা বানাচ্ছেন। অভিযোগ করলেও কানে তুলছে না পুলিশ। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভ জমছিল পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামেপ কেশবাড়ি হত্যাকাণ্ডের একমাত্র জীবিত সদস্য অনন্ত কেশের মনে। সেই ক্ষোভ থেকে শুক্রবার বাবা-দাদার শহিদ বেদী ভেঙে ফেললেন তিনি। বললেন, তৃণমূলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখবো না।
১৯৮৫ সালের ২ জুলাই আউশগ্রামের বেলাড়ি এলাকার বিল্বগ্রামে সিপিএমের দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন কমলাকান্ত কেশ, অশোক কেশ ও অসীম কেশ। সেদিন বাড়ি ছিলেন না অনন্তবাবু। তাই প্রাণে বেঁচে যান। ২ দাদা ও বাবাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করে সিপিএম সমর্থকরা। তার পর থেকে ওই দিনে কেশবাড়ি হত্যা দিবস পালন করত কংগ্রেস। বাড়ির সামনেই তৈরি হয় শহিদ বেদী। পরে তৃণমূলও দিনটি পালন শুরু করে। শুক্রবার সেই শহিদ বেদী শাবল দিয়ে ভাঙেন অনন্তবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূল আমাদের পরিবারকে প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছে না।’ সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, এলাকায় তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এলাকায় বেশ কিছু নিকাশিনালা দখল করে বাড়ি বানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ওদিকে অনন্তবাবুদের বাড়ির জমি দখল করে নালা বানাচ্ছে পঞ্চায়েত। কয়েক বছর আগেও যে পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন তিনি নিজে। অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ করেও সুরাহা পাননি তিনি। এমনকী তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুনের হুমকিও দিয়েছে।
অভিযোগ মানতে নারাজ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, ‘কেশ পরিবারকে উপযুক্ত সম্মান দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন তাদের মনে ক্ষোভ জমল তা খতিয়ে দেখবো।’