বিধানসভা ভোটের পর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে বিজেপিতে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে। তবে এবার উল্টো ঘটনাও ঘটতে শুরু করে দিল। মালদহে একটি পঞ্চায়েতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বেশ কয়েকজন সদস্য। এর ফলে পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল তৃণমূলের। অন্যদিকে ভোটের পর এই প্রথম কোনও পঞ্চায়েতের দখল পেল গেরুয়া শিবির।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি ৮টি করে আসন পেয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ২টি আসন। বাম ও নির্দল একটি করে আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের পঙ্কজ মিশ্র। তবে সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধানের কিছু কাজে তৃণমূলের অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তৃণমূলের কিছু সদস্য বিজেপি সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। গত বুধবার তৃণমূলের কিছু সদস্যের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন বিজেপির লাল্টু চৌধুরী।
বিজেপির এই সাফল্য নিয়ে জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল জানান, ‘দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে বিজেপির জয় যাত্রা শুরু হল। তৃণমূলের এবার শ্মশানের যাত্রা শুরু হবে।’ বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু জানান, ‘একটা পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপির এত উল্লসিত হওয়ার কারণ নেই। বিজেপি আগে নিজেদের বিধায়কদের সামলাক। বিজেপির কোনও বিধায়কই এখন তাঁদের দলে থাকতে চাইছেন না।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, যাঁরা দলবিরোধী কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।