রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে। তার জেরে আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বিরোধী দলনেতা বলছেন, ওই বীরবাহা হাঁসদা তাঁর জুতোর তলায় থাকত। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এই মন্তব্যের জেরেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বীরবাহা দাবি করেন, তাঁকে অপমান করে আসতে তফসিলি উপজাতির মানুষকে অপমান করা হয়েছে।
মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি প্রকাশ্যে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কীভাবে এমন মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি তথা বিরোধীরা। এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী–বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা এবং দেবনাথ হাঁসদাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। আদিবাসী পরিবারের মেয়ে বীরবাহা হাঁসদাকে জুতোর নীচে রেখে দেওয়ার কথা বলে অপমান করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর সেই মন্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। এবার এই ইস্যুতে এফআইআর করলেন খোদ বীরবাহা। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ঠিক কী দাবি মন্ত্রীর? রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার দাবি, তিনি একজন আদিবাসী তথা তফসিলি উপজাতির মহিলা প্রতিনিধি। তাঁর সম্পর্কে এই মন্তব্যের অর্থ জনজাতিকে অপমান করা। সমাজের একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি শুভেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের একাধিক থানায় এই ইস্যুতে এফআইআর করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আদিবাসী সম্প্রদায়কে অবমাননা করা হয়েছে বলে এদিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ওই ভিডিয়ো–তে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এই যে বীরবাহা, দেবনাথ বসে রয়েছে। এরা তো শিশু। এরা আমার জুতোর নীচে থাকত।‘ এর পরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পালটা প্রচার শুরু করা হয়। বিকেলে এই নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।