মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে এবার সৌজন্যতার নজির গড়লেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি নেতা সুখময় শতপথীর মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে ছুটে গেলেন তিনি।খোঁজ নিলেন কেমন আছেন তাঁর মা।বিপদের সময়ে রাজ্যের মন্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় অভিভূত বিজেপি নেতা ও পরিবারের লোকেরা।
রাজ্যে মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই জোরকদমে কাজে নেমে পড়েছেন বীরবাহা হাঁসদা।করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।কখনও হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন, আবার কখনও এলাকার মানুষের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি।রবিবার রাতে বিজেপি নেতা সুখময় শতপথীর মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে চলে যান বীরবাহা।তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিবেন্দ্র বিজয় মল্লদেব।বিজেপি নেতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।রাজ্যের মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে স্বভাবতই খুশি বিজেপি নেতার পরিবারের লোকেরা।
উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী।তৃণমূলের প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে যান।ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও বিপদের দিনে সৌজন্যতা দেখাতে কিন্তু ভুললেন না বীরবাহা।এই ধরনের সৌজন্যের নজির রাজ্য রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বহুবার দেখিয়েছেন।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তখন তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সম্প্রতি যখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়েছেন, তখনও খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।শুধু তাই নয়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ যখন করোনায় আক্রান্ত হন, তখন তাঁকে ফোন করে খবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন।