হাতে মাত্র আর দু’দিন। তারপরেই আলোর উৎসব দীপাবলিতে মেতে উঠবে গোটা রাজ্য। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে দেউচা–পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্পে জমিদাতাদের আরও এক দফায় চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে এখন তাঁদের ঘর আলোর রোশনাইয়ে ভাসছে। আজ, শনিবার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সিউড়িতে গিয়ে জমিদাতাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। তার মধ্যে ২৩৮ জনকে গ্রুপ–ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ৫৪ জন নাবালককে মাসিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠান মঞ্চে ফিরহাদ হাকিম–সহ ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে? দেউচা–পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্পে জমিদাতাদের পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেটাই ধাপে ধাপে দেওয়া হচ্ছে। দীপাবলির আগে আরও এক দফায় তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল পুনর্বাসন প্যাকেজ। এবার ২৩৮ জনকে দেওয়া হল গ্রুপ–ডি পদের নিয়োগপত্র। যেসব জমিদাতাদের এখনও ১৮ বছর বয়স হয়নি তাঁদের একবছরের জন্য ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হবে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, শনিবার সেই কথা অনুযায়ী ৫৪ জন নাবালকের হাতেও আর্থিক সাহায্য তুলে দেন ফিরহাদ হাকিম।
আর কী জানা যাচ্ছে? প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগেও একাধিকবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেউচা–পাঁচামি এলাকায় জমিদাতাদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আগে প্রায় ৩০০ জনের হাতে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ, শনিবার নতুন করে ২৩৮ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ৫৪ জনের হাতে সহায়ক ভাতা তুলে দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম কয়লাখনি হিসেবে গড়ে উঠছে মহম্মদবাজারের দেউচা–পাঁচামি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আকর্ষণীয় পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই খনি তৈরি হলে অনুসারী শিল্পও গড়ে উঠবে। বড় কর্মসংস্থান ঘটবে। ইতিমধ্যেই দফায় দফায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। এবার আরও নিয়োগপত্র ও মাসিক ভাতা পাওয়ায় দীপাবলির আগে খুশির হাওয়া বইছে এখানে।