চা–বাগানের মধ্যেই বিলাসবহুল বাড়ি। সরকারি জমিতে তৈরি হচ্ছে শপিং মল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এমনই অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধে। এখন মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে সফর করছেন। তার মধ্যেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। এখানে পুরসভা ভোটে নিজেদের জমি হারিয়েছে বিজেপি। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগে বক্তব্য রাখছিলেন মলয় ঘটক। সেখানেই বিজেপি সাংসদের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিজেপির জন বারলা সাংসদ নির্বাচিত হলেও গত তিন বছরে চা শ্রমিকদের জন্য তিনি কী কাজ করেছেন? আসলে শ্রমিকদের জন্য না করলেও তিনি নিজের জন্য অনেক কিছু করেছেন।’
কী কী অভিযোগ তুলেছেন মলয় ঘটক? রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের অভিযোগ, চা–বাগান আসলে রাজ্য সরকারের জমি। সরকার সেই জমি লিজ দেয়। তাহলে চা–বাগানের জমিতে বারলা বাড়ি করলেন কী করে? জলপাইগুড়ির একটি চা–বাগানে জন বারলা বাড়ি বানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলার বানারঘাট থানার অধীন চামুর্চি বাজারে একটি সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে শপিং মল তৈরি করছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
জমিটি ঠিক কার? মন্ত্রী মলয় ঘটকের কথা অনুযায়ী, এই জমিটি একসময় রাজ্যের পূর্তদফতরের নামে নথিভুক্ত ছিল। পরে তা হস্তান্তর করা হয় কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্ত বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনকে (বিআরও)। এই জমিতে কীভাবে শপিং মল তৈরি করা হচ্ছে? জেলাশাসকের কাছে জানতে চেয়েছিল পূর্তদফতর। তিন মাস আগে জেলা প্রশাসন সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এমনকী কাজের ছাড়পত্র আছে কি না, তা যাচাই করতে জেলা আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে পূর্তদফতর। এই বিষয়ে জন বারলার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।