বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ED-CBI: ‘‌রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে’‌, ইডি–সিবিআই অভিযান নিয়ে আক্রমণ পার্থর

ED-CBI: ‘‌রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে’‌, ইডি–সিবিআই অভিযান নিয়ে আক্রমণ পার্থর

দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে একহাত নিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

সিবিআইয়ের কোনও দোষ নেই। তাদের কাজ তাদের করতে হয়। একসময় এই সিবিআইয়ের উপর মানুষের আস্থা ছিল। বিজেপি এদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে এদের সম্মানহানি করছে। সেটা সিবিআইয়ের অফিসাররাও বুঝতে পারছেন। কিন্তু তাঁদের কিছু করনীয় নেই। এটা সমগ্র ভারতবর্ষে হচ্ছে।

সিবিআই–ইডি যখন রাজ্যজুড়ে অভিযানে নেমেছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের বাড়ি পর্যন্ত যাচ্ছেন তখন এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে একহাত নিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। আজ, সোমবারও ইডি–সিবিআই যৌথ উদ্যোগে কলকাতা এবং সোদপুরে অভিযান চালিয়েছে। তার আগে রবিবার বীজপুরের বিধায়কের বাড়িতেও গিয়েছিল। পরে রাতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্ত সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী?‌ এই ঘটনার পর মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘‌আমাদের সকলকে জেলে ঢুকিয়ে দিলেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একা বাইরে থাকেন,তাহলেও বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকবেন। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই দেখা করে কথা বলে গেলেন। কিছু পায়নি। আসলে মেলাইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের কোনও দোষ নেই। তাদের কাজ তাদের করতে হয়। একসময় এই সিবিআইয়ের উপর মানুষের আস্থা ছিল। বিজেপি এদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে এদের সম্মানহানি করছে। সেটা সিবিআইয়ের অফিসাররাও বুঝতে পারছেন। কিন্তু তাঁদের কিছু করনীয় নেই। এটা সমগ্র ভারতবর্ষে হচ্ছে।’‌

বাংলায় কেন করা হচ্ছে? ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।‌ এই নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‌বাংলায় যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান শক্তি, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যারা সৈনিক তাদেরকে হ্যারাস, বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা বাইরে থাকেন তখন বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকবেন। গোটা ভারতবর্ষের মানুষ দেখতে পাচ্ছে নীতীশ কুমার থেকে শুরু করে নয়াদিল্লিতে আপের উপর অত্যাচার হচ্ছে। অখিলেশ যাদবের উপর অত্যাচার হচ্ছে। রাহুল গান্ধী,সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করা হচ্ছে। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। বাচ্চা নিয়ে অভিষেকের স্ত্রীকে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।’‌

কেন এমন করছে বিজেপি?‌ একুশের নির্বাচন থেকে শুরু করে সব নির্বাচনেই গোহারা হয়েছে বিজেপি। তারপর থেকে এই তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়ে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‌রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। রাজনীতির লড়াইয়ে না পেরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিজেপি নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছে। এটা দেশের মানুষ ভালোভাবে মেনে নিচ্ছে না। মিডিয়ার উপরেও অত্যাচার করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ যেন খবর না করে তার জন্য। এবার যা হল তাতে বিধায়কের কোন সম্মানহানি হয়নি। বরং কাল থেকে বিধায়ক মাথা উঁচু করে চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সবাইকে মেলাইন করা যায় না। সবার উপরে আছে মানুষের আদালত। ২০২৪ সালে মানুষের আদালত ঠিক করে দেবে এই হিটলারি ব্যবস্থা চলবে কি চলবে না।’‌

বন্ধ করুন