পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা রাতের ঘুম উড়িয়েছে প্রশাসনের। বারবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা থেকে বেআইনি অস্ত্র নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে। এই আবহে বহু জেলা থেকেই সাম্প্রতিককালে উদ্ধার হয়েছে বিপুল অস্ত্র। তবে এরই মাঝে শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। অভিষেকের কাঁথি সফরের আগে এই বিস্ফোরণে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার সকালের দিকে তৃণমূলের কোনও শীর্ষ স্থানীয় নেতা মুখ খোলেননি। ভূপতিনগর নিয়ে মুখ না খুললেও বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে বিরোধীদের দিকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা।
শনিবার দুপুরে হাওড়ায় বেঙ্গল জয়েন্ট ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় যো দিয়ে শিউলি শাহা বলেন, ‘হঠাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত কিনা, আগামী দিনে তদন্তেই তা বেরিয়ে আসবে।’ মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘আমরা কী এত বোকা যে বোমা রেখে, আমরাই সেটা ফাটিয়ে দেব?’ তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর চেষ্টা করবে সরকার। বিরোধীদেরও এতে সহযোগিতা করা উচিত।’
মন্ত্রীর কথায়, পুলিশ প্রশাসন আইন মেনে নিজেদের কাজ করছে। মন্ত্রী জানান, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও কয়েকদিন আগেই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে শিউলির বক্তব্য, ‘পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক বেশি শক্তিশালী৷ ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাটি৷ আগেও তা ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে৷ গ্রামে যে মানুষ বাস করেন, তাঁরা ভরসা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের ওপর৷ ফলে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা আবারও প্রমাণ করে দেব যে, বাংলা মমতার ছিল, আছে, থাকবে৷’