রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বাংলার পড়ুয়াদের জন্য নানা সুযোগ–সুবিধা থেকে প্রকল্প চালু করেছে। সবুজ সাথী থেকে শুরু করে একাধিক স্কলারশিপ এবং তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা সবই আছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রকল্পে। এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসা হল। এই চার শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বিনামূল্যে সহায়িকা বই প্রদান করবে রাজ্য সরকার। যা একপ্রকার বড় পদক্ষেপ এবং সাহায্য। কারণ সহায়িকা বা রেফারেন্স বই কিনতে বেশ ভাল টাকাই লাগে। সেটা এবার থেকে মিলবে বিনামূল্যে।
এদিকে মঙ্গলবার বারাসতে বইমেলার উদ্বোধন করতে এসে এই কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এই বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কবি শ্রীজাত। তিনি মানুষকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর অনুরোধ করেন। এই বড় ঘোষণা শুনে গভর্নমেন্ট স্কুল মাঠ করতালিতে ফেটে পড়ে। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। তবে এই ঘোষণা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: এবার ডেঙ্গির ওষুধ আসতে চলেছে বাজারে, জানুয়ারি মাসে ট্রায়াল এনআরএস হাসপাতালে
বারাসতের এই বইমেলায় কলকাতার নামী প্রকাশনা সংস্থাগুলিও স্টল দিয়েছে। মোট ৭২টি স্টল এখানে গড়ে উঠেছে। বারাসতের বইমেলা চলবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলে খবর। তবে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাস যেন না কমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাংলা বই পড়ার প্রতি উৎসাহ বাড়াতে হবে। রাজনীতির কচকচানির মধ্যেও বই এবং সাহিত্যচর্চা জরুরি। তাই পুরসভার প্রত্যেকটি কাউন্সিলরকে বলব কম টাকার হলেও বই অফিসে কিনে রাখুন। আর সকলকে পড়ান।’
ছাত্রছাত্রীদের নানা প্রকল্প থাকলেও বিনামূল্যে সহায়িকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। তবে পড়ুয়াদের পোশাক–জুতো–সাইকেল দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এই বইমেলায় এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বক্তব্য, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা যদি সহায়ক বইয়ের জন্য সরকারি লাইব্রেরিতে আবেদন করেন তাহলে বিনামূল্যে সেই বই দেওয়া হবে।’ এই ব্যবস্থা আগে কোনও সরকারের আমলে ছিল না। এবার সেটা ঘোষণা করে পড়ুয়াদের মন জয় করে নিলেন মন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।