বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Sovondeb Chatterjee: ‘‌যে চোর, সে চোর’‌, রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শোভনদেবের

Sovondeb Chatterjee: ‘‌যে চোর, সে চোর’‌, রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শোভনদেবের

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

এসএসসি, গরু পাচার, কয়লা পাচার–সহ বিপুল পরিমাণ অর্থ সামনে আসা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা–মন্ত্রীদের। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। 

ফের দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন খড়দহের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার খড়দহ বিধানসভার বিলাকান্দায় দলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন। সেখানেই দুর্নীতিতে যাঁরা অভিযুক্ত এবং জেল খাটছেন তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। রাজ্যে একাধিক নেতা–মন্ত্রীর নামে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে এক নেতা এবং এক মন্ত্রী এখন জেলে। এই পরিস্থিতিতে শোভনদেবের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

ঠিক কী বলেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী?‌ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে অনেকেই সরব হয়েছেন। তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় শোভনদেব বলেন, ‘‌বিধানসভায় আমি বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কোর্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে আসতে হবে। না হলে দল কাউকে স্বীকার করবে না। যে চোর, সে চোর। প্রমাণ হলে, দল তাঁকে সহ্য করবে না। সে যেই হোক। তাই বলে সবাই খারাপ, এটা হতে পারে না।’‌

ঠিক কী ঘটেছে রাজ্যে?‌ এসএসসি, গরু পাচার, কয়লা পাচার–সহ বিপুল পরিমাণ অর্থ সামনে আসা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা–মন্ত্রীদের। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। আর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দু’‌জনেই রয়েছেন জেলে। আবার গ্রেফতার হয়েছেন, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশ। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

কী বলেছেন সৌগত রায়?‌ শিক্ষা দফতরে এই দুর্নীতি এবং গ্রেফতার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‌আমি খুব লজ্জিত। একজন উপাচার্য জেলে যাচ্ছেন। সুবীরেশ কী করে উপাচার্য হয়েছিলেন আমি জানি না। তিনি শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তৃণমূল জমানায় তিনি অধ্যক্ষ–উপাচার্য সংগঠনের শীর্ষ পদ সামলেছেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। একই লোক, তাঁর কী মহৎ গুণ, যে তাঁকে এসএসসি’‌র চেয়ারম্যান, আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদও ছাড়েননি। এগুলি কেন কেউ দেখেননি?‌ আমি জানি না।’‌

বন্ধ করুন