রাজ্যে ডিএ নিয়ে একটা তপ্ত বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিধানসভায় রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘভাতার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। বকেয়া ডিএ’র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন ২২ দিনে পড়ল। আর ৮ দিনে পড়ল অনশন। এই পরিস্থিতিতে এখন সরগরম রাজনৈতিক বাতাবরণ। কারণ বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেখানে পাল্টা আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাতে তেতে উঠেছে আবহ।
এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কালো ব্যাচ পরে কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ, শুক্রবার এই ডিএ’র দাবিতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে শ্রমিক–কর্মচারী শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ১২ জুলাই কমিটি। অন্যদিকে, আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর তা নিয়েই এবার হুমকি এল।
ঠিক কী বক্তব্য মন্ত্রীর? ক্যালেন্ডারে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আর এই নিয়ে বেলাগাম ফেসবুক পোস্ট করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার তাঁর নিশানায় ডিএ আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। এই আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করছেন না। তাই তিনি ফেসবুকে লিখলেন, ‘২০ ও ২১ তারিখ না এলে ২২ তারিখ বাড়িতেই থাকুন।’ অর্থাৎ আর আসার দরকার নেই অফিসে বলে বোঝানো হয়েছে। আর এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম।
মুখ্যমন্ত্রী ডিএ নিয়ে কী বলেছেন? বৃহস্পতিবার ডিএ’র উল্লেখ না মুখ্য়মন্ত্রী মেদিনীপুর থেকে বলেন,‘প্রত্যেক জাতির নিজের নিজের সমস্যা আছে। সেগুলির সমাধানও করতে হবে। কিন্তু আমরা তো জাদুকর নই। টাকাটাও জোগাড় করতে হবে। অনেকে বলেন, এটা পেলাম, ওটা দাও। আরে যেটা পেলে, সেটাকেও ধরে রাখতে হবে। সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে? কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে আর মিথ্যে কথা বলছে। বলছে, আধার লিঙ্ক না থাকলে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেবে না। বিজেপি নেতাদের কথায় কেন্দ্র আমাদের কোনও টাকা দিচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র–পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ’র তফাৎ ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। আরও ৩ শতাংশ হারে ডিএ ঘোষণা করেছে রাজ্য় সরকার। তার ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ–এর তফাৎ হবে ৩২ শতাংশ।