টেট আন্দোলনকারীকে পুলিশের কামড় নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আরও জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি টেট বিক্ষোভকারীকে পুলিশের কামড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে কার্যত সমর্থন জানালেন। তাঁর মতে, বিক্ষোভকারীকে পুলিশ কামড়ে কোনও ভুল করেনি। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হকের চাকরির দাবিকে জোর করে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বিধায়ক। বিধায়কের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা জোর করে চাকরি পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন রাস্তা অবরোধ করছে। সরকারকে অপদস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশকে অপদস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশকে যদি কামড়ে দেয় তাহলে পুলিশ কামড়াবে না তো কি রসগোল্লা দেবে? ভেবে দেখবেন। আজ বাংলা জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’ এছাড়াও চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে সরকার এবং পুলিশকে বিব্রত করার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে কামড়ালে সেটা অপরাধ নয়, আবার পুলিশ কামড়ে দিলে পাড়া মাথায় তোলা হচ্ছে। এটা হতে পারে না।’ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন ওই তৃণমূল বিধায়ক।
অন্যদিকে, বিধায়কের মন্তব্যর পরেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ‘এবার মনে হচ্ছে অজিত মাইতিও কামড়ে দেবে। কোনও সভ্য দেশে এরকম হতে পারে! পুলিশকে কি কামড়ানোর ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এটা যে শুনছে সে অবাক হয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে চুরি, লুঠপাট থেকে যেভাবে সমস্ত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে পুলিশ হতাশ হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের নিজের উপরে আর কন্ট্রোল নেই। না হলে এই ধরনের কাজ করতে পারে না পুলিশ।’ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিধায়কের ভীমরতি হয়েছে এমন কথা শুনলে বিধায়কের পরিবারের লোকেরাও তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেবেন। এরকম নেতাদের জন্যই মানুষকে ধারনায় বসতে হচ্ছে। পুলিশ তৃণমূলের লুঠেরা বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে।’