সরকারের সঙ্গে বৈঠক নিস্ফলা। নতুন আন্দোলন শুরু করার জন্য ফিতে বাঁধতে শুরু করেছেন কুড়মি আন্দোলনের নেতারা। তারই মধ্যে কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে 'খালিস্তানি' নেতাদের তুলনা টেনে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন পিংলার তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
শনিবার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সভায় অজিত মাইতি বলেন, 'আমরা কুড়মি ভাইদের বিপক্ষে নই। কিন্তু কিছু কুড়মি নেতা খালিস্তানি নেতাদের মতো আচারণ করেছেন। তাদের ভুল বোঝাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এই মর্যাদা দেওয়ার মালিক নন। তিনি মন্ত্রিসভায় পাশ করে দিল্লিতে পাঠিয়েছেন। এখন দিল্লি সিদ্ধান্ত নেবে।'
প্রসঙ্গত, তফসিলি উপজাতির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সিআরআই রিপোর্টের উপর রাজ্যকে কেন্দ্রের কাছে জাস্টিফিকেশন রিপোর্ট পাঠাতে হবে। সেই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি জনজাতির মানুষ। মাস খানেক আগে তাদের লাগাতার অবরোধে স্তব্ধ হয়েছে, রাস-ট্রেন চলাচল। নবান্ন তাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসে। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র উঠে আসেনি।
অজিত মাইতি আরও বলেন, 'যাঁরা মানুষের সরকারকে টেনে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে, এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করব। সরকার বিরোধী এই আন্দোলনে আমরা মদত দেব না।' নেতাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'কুড়মিদের বোঝান যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে।' তৃণমূল বিধায়ক যখন এই বক্তব্য রাখছেন সেই সময় মঞ্চে বসে রয়েছেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো সহ জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতারা।
(পড়তে পারেন। মেয়ো রোড-লেনিন সরণি-সহ একাধিক নাম বদলের দাবি, মেনে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?)
কুড়মি নেতা এই মন্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জনজাতির নেতা বিপ্লব মাহাতো। তিনি বলেন,'হক বুঝে নেওয়া চেষ্টা করলেই কেউ বলছে মাওবাদী, কেউ আবার খলিস্তানি। আমাদের কি হক বুঝে নেওয়ার কোনও অধিকার নেই।'
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি অজিত মাইতির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে। দলের সহসভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, ' এই বক্তব্যেই প্রমাণিত হল, তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসী ও জনজাতি বিরোধী। কুড়মিদের অপমান করার অধিকার অজিতবাবুদের নেই।'
(আরও পড়ুন। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম, তদন্তের নির্দেশ খাদ্য দফতরের)