এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদার। কারণ বিরোধী দলনেতা তাঁর সম্মানহানি করেছেন বলে অভিযোগ। ঠিক আটদিন আগে ২২ মে চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ের সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেন নন্দীগ্রমের বিধায়ক। সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়ে দেন শুভেন্দু বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতেই চুঁচুড়া আদালতে মানহানির মামলা করেন অসিত।
ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু? হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় সভা করতে এসে চাকরি বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে নাম জড়িয়ে দেন অসিত মজুমদারের। এই নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বর্ধমানে একশো চাকরি বিক্রি করেছেন বিধায়ক। সব তালিকা আছে।’ শুভেন্দুর দাবি, অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে চুঁচুড়া পুরসভাতেও বিধায়ক ৩৫টি চাকরি বিক্রি করেছেন। বিরোধী দলনেতার এমন বক্তব্যে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? শুভেন্দু এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন অসিত মজুমদার। তিনি জানান, চুঁচুড়া বিধানসভার মানুষ তাঁকে তিনবার ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। সেখানে এমন মন্তব্য তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এমন মন্তব্য তাঁকে বদনাম করতে করা হয়েছে। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিধায়ক বলেন, ‘কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীর একটি মন্তব্যের জন্য আদালত দু’বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে। রাহুলের সাংসদ পদও খারিজ হয়েছে। তাহলে শুভেন্দুর ক্ষেত্রে কেন হবে না?’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিধায়ক অসিত মজুমদারের আইনজীবী নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ এবং ৫০৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবারই এই মামলা গ্রহণ করেছেন চুঁচুড়া আদালতের এসিজেএম।’ পাল্টা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি আগে আমার বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। শুভেন্দু দার বিরুদ্ধে করলেন। ওঁকে এভাবে মামলা করে যেতেই হবে। আমরা সত্যিটা বলবই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup