এবার কালনার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে পিকের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে কী ঠেকানো যাবে ভাঙন? উঠছে প্রশ্ন। কারণ অমিত শাহের সভায় মেগা যোগদানে থাকছেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। একইসঙ্গে বিজেপিতে যাচ্ছেন পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও বলে সূত্রের খবর। মেদিনীপুরে শাহের সভাতেই পদ্ম শিবিরে যোগদান করছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের এই দুই বিধায়ক। আর তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তাঁর বিরোধী শিবিরের বলে পরিচিত কালনা পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগকে আনা হয় শহর তৃণমূলের সভাপতি পদে। তাতেই নাকি বিশ্বজিৎবাবুর ‘গোঁসা’ হয়েছে। তারপর থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। যদিও শুক্রবার রাতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, দলেই থাকছেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর মতো তিনিও কথা রাখলেন না।। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে কালনার বিধায়ক দাবি করেছেন, তিনি কোনও ফোন করেননি। সৌগত রায় মিথ্যে বলছেন।
আবার তিনি অভিযোগ করেন, ছাপ্পা মেরেই ২০১৫ সালে পুরভোটে জয়লাভ করেছেন কালনার তৃণমূল চেয়ারম্যান। এছাড়াও কালনা পুরসভার প্রশাসক তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবপ্রসাদ বাগের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ করেন, জমি কেনাবেচা–সহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত দেবপ্রসাদ বাগ। শুধু তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু নন, পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও শনিবার বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে খবর। উল্লেখ্য, বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য যখন শুভেন্দু অধিকারী যখন বিধানসভায় যান, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় কাঁকসায় বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। সুনীল মণ্ডলের বাড়ির ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, শালতোড়ার স্বপন বাউড়ি, গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিতাই চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান, আসানসোলের প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তৃণমূল নেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি–সহ বেশ কয়েকজন। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরির পথ ধরে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর দলত্যাগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে জিতেন্দ্রকে বিজেপিতে কেউ নিতে রাজি না হওয়ায় ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।