মালদায় প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। এই বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মানুষের ভিড়ে ভর্তি মাঠে কীভাবে গুলি চালানো হল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদি গুলি ছিটকে কারও লাগতো তাহলে তার দায়ই বা কে নিত? বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায়। যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবি, আবেগের বশে গুলি চালানো হয়েছে। আর বিধায়কের এক বক্তব্য সামনে আসতেই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের বক্তব্য, আবেগের বশে কি এভাবে ভরা মাঠে গুলি চালানো যায়!
আরও পড়ুন: পুলিশকে গুলি করে পালানো সাজ্জাককে বন্দুক দেয় এক বাংলাদেশি, দাবি সরকারি আইনজীবীর
ঘটনাটি মালদার মানিকচকের নুরপুর এলাকার। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। এদিন নুরপুর টিপটপ ক্লাব এন্ড লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টে অনুষ্ঠিত হয় নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টকে ঘিরে প্রচুর সংখ্যক মানুষ মাঠে উপস্থিত ছিলেন। সেই টুর্নামেন্টের সূচনার সময় দেখা যায় চার যুবক আকাশের দিকে তাক করে গুলি ছুঁড়েছেন। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার মানিকচকের নুরপুর এলাকায়। এ বিষয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এই অনুষ্ঠানে শাসকদলের নেতা এবং জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষও উপস্থিত ছিলেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে অনুমতি না নিয়ে গুলি চালানো হয়েছে।
এবিষয়ে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রেরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে তিনি অনুষ্ঠানে যাননি। তিনি অবশ্য বলেছেন, এভাবে অনুমতি ছাড়া গুলি চালানো উচিত নয়। একইসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, আবেগের বশে গুলি চালানো হয়েছে। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, আবেগের বশে এভাবে গুলি চালানো যায় না। সেখানে অনেক মানুষ।উপস্থিত ছিলেন। ফলে বিপদ ঘটতে পারত। পরিকল্পনা করে এটা করা হয়েছে। পুলিশ কেন জানতে পারল না? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, পুলিশ ইতিমধ্যেই এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুমতি না নেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।