বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ঠিক তার প্রাক্কালে বেআব্রু হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল। যেখানে বারবার বলা হচ্ছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মানুষের কাজ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে এবার ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন প্রকাশ্যে চলে এল। আর তা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? শনিবার মুর্শিদাবাদের সালার থানার তালিবপুরের সরমস্তপুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কর্মিসভা ছিল। সেই কর্মিসভায় বক্তৃতা রাখছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেখানেই তিনি বলেন, ‘চুনোপুটি কিছু আছে, আমরা লক্ষ্য করছি তো। আমাদের দলের মধ্যে থেকেই মিটিং–মিছিলে আমাদের ডাকছে না। আবার আমাদের লোকেরা তাঁকে ডাকলেও তিনি আসছেন না। একই দলে থেকে দলের মধ্যে এভাবে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। দলের মধ্যে থেকে দলকে অস্বস্তিতে ফেলা, দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। এগুলি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা এগুলি বরদাস্ত করার জন্য অভ্যস্ত নই।’ যদিও কার উদ্দেশে এই কথা বললেন তা খোলসা করেননি।
আর কী জানা যাচ্ছে? বেশ কয়েক মাস ধরেই ভরতপুর বিধানসভার ভরতপুর–২ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের আকচা–আকচি লেগেই রয়েছে। আর এই সংঘাতের জেরে বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতি দু’পক্ষই এমন মন্তব্য করেছেন বিধায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। সেটা নিয়ে এখানের কর্মীদের মধ্যে চর্চাও চলছে। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। যা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠিক কী বলছে তৃমমূল কংগ্রেস? এই মন্তব্য নিয়ে ভরতপুর ২ ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিধায়ক হয়ত কোনও কর্মসূচিতে এমন মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে এমন মন্তব্য করেছেন, সেটি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। ওটা উনিই বলতে পারবেন। আমরা যা করি দলীয় নির্দেশেই করি। শেষ যে বড় সভাটি হয়েছিল, সেটিও তাঁর অনুমতিক্রমেই করা হয়েছিল। তিনি হয়ত বিশেষ কারণে আসতে পারেননি।’