কলেজে ভরতি সংক্রান্ত বিষয়ে এক ছাত্রের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতি। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে তৃণমূল। ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে এক ব্যক্তিতে বলতে শোনা যায়, ‘ভরতির জন্য কোনও কলেজ পয়সা নেয় না। ভরতির ফি বাদে রামনগর অনার্স কলেজের জন্য ৭৫,০০০ টাকা এবং কাঁথি কলেজে ৪০,০০০ টাকা লাগে। আর সেইসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়।’ অডিয়োয় যে ব্যক্তির গলা শোনা গিয়েছে, তিনি আদতে এগরার তৃণমূল বিধায়ক তথা সারদা শশীভূষণ কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তরুণ মাইতির বলে দাবি করা হয়েছে। কলেজেরই প্রথম বর্ষের ছাত্রের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সাত মিনিট ১৫ সেকেন্ডের এই অডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। তারইমধ্যে ওই অডিও ক্লিপের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তরুণ। সাফাইয়ে তিনি বলেছেন, 'অডিয়ো ক্লিপে ছাত্রের সঙ্গে আমার যে কথা হয়েছে, সেটা আমার কোনও অফিশিয়াল কমেন্ট নয়। আমি ওই ছাত্রকে শুধুমাত্র বিরোধীদের অভিযোগের কথা বোঝাতে চেয়েছিলাম।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনও কলেজে যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেওয়া হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছেন আমাদের ছাত্র পরিষদের নতুন সভাপতি। কোনও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’ অন্যদিকে, তাঁর ব্যক্তিগত ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়াকে সাইবার ক্রাইম বলে মনে করছেন তৃণমূল বিধায়ক ।
এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পরই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক জাকির হোসেন মল্লিক বলেন, 'আমরা বারবার অভিযোগ করে এসেছি যে কলেজগুলি থেকে টাকা তুলে আসছে তৃণমূল। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হল।' অন্যদিকে, বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন, অবশেষে তা প্রমাণিত হল।’ যদিও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শতদল বেরা এই ধরনের অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন' বলে দাবি করেছেন ।