পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দিলে পা ভেঙে দেওয়া হবে। এমনই ভাষায় হুমকি দিলেন সিতাইয়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। তাঁর হুমকি, ‘(পঞ্চায়েত ভোটে) আমার মিলিটারি, আমাদের তৃণমূলের বিএসএফ থাকবে।’ পালটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, লোকসভা ভোটের পর বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। এত সাহস থাকলে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল কেন?
শুক্রবার রাতে সিতাইয়ে দলীয় কর্মসূচিতে তৃণমূল বিধায়ক মন্তব্য করেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে গলাধাক্কা দিয়ে দিল্লি থেকে নামিয়ে দেবেন সারা ভারতের মানুষ। কেন রাখা হবে বিজেপিকে? ১৭৯ লাখ কোটি টাকা দেনা আছে। সেটা কীভাবে শোধ করবে? সরকারি সম্পত্তি বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। এরকম সরকারকে দিল্লিতে ক্ষমতায় রাখা উচিত? তারপর তিনি বলেন, ‘যাঁর যাঁর মনে আশা আছে, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট। বাপের দম থাকলে বিডিও অফিসে নমিনেশন সাবমিট করে দেখাও। বিধানসভার ভোটে বিএসএফের ভয়, মিলিটারির ভয় দেখাচ্ছিল। পঞ্চায়েত ভোটে কোথায় যাবে? তখন কোন মিলিটারি, বিএসএফ আসবে? তখন আমার মিলিটারি, আমাদের তৃণমূলের বিএসএফ থাকবে। তখন কোন বিজেপি নেতারা ওই পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে নমিনেশন সাবমিট করে যায়। ঠ্যাং ভেঙে দেব।’
তৃণমূল বিধায়কের সেই হুমকি পালটা দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, 'লোকসভা ভোটে মানুষ হারিয়ে দিয়েছিলেন। তিন মাস বাড় ছেড়ে ছিলেন উনি, এত বড় বিষ। নিজের এলাকায় কুকুরও সিংহ হয়।' সঙ্গে যোগ করেন, ‘এত সাহস থাকলে ভোটের পরে পালিয়ে গিয়েছিলেন কেন?’ তৃণমূলকে তোপ দেগে দিলীপ জানান, একদিকে অসম, বাংলাদেশ থাকায় যাতায়াতের সুবিধা আছে। তাই মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের যে রাজত্ব পদ্ধতি, তা হল এলাকায় এলাকায় জমিদারি তৈরি করা। যাঁরা গুন্ডামি করেন। তৃণমূলের লক্ষ্য হচ্ছে, বিরোধীশূন্য করা।