সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ঘটনাচক্রে বহরমপুরে ভোট মিটে যাওয়ার পর দিনই শীর্ষ আদালতে মিলল জামিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডিলম্যান’ প্রসন্ন রায়কে সহযোগিতা করতেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন প্রসন্ন। শীর্ষ আদালতে বিষয়টি তোলেন জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীরা। সেই যুক্তিতেই জামিন তৃণমূল বিধায়ক জামিন পেয়েছন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন জীবনকৃষ্ণের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি, রউফ রহিম এবং অনির্বাণ গুহঠাকরতা। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি এএস বোপান্ন এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এজলাসে। আদালতে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীরা বলেন, মামলায় চার্জশিটে থাকা ২৩ জনের মধ্যে ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আবার তিনজন জামিন পেয়ে যান। তার মধ্যে রয়েছেন অন্য অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রসন্ন রায়। আইনজীবীরা এই বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন।
জামিনের বিরোধিতা সিবিআই-এর
যদিও এই জামিনে বিরোধিতা করে সিবিআই। তারা আদালতে জানায়, বিধায়ক পুকুরে ফোন ছুড়ে ফলে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করেছেন। বিধায়কের ফোনের চ্যাট থেকে এক চাকরিপ্রার্থীর কথোপকথনেরও প্রমাণ মিলেছে। এই তথ্য তুলে সিবিআই আদলতে বলেন, এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে অপোপ্রতোভাবে জড়িত জীবনকৃষ্ণ তাই তাঁর জামিন না হওয়া উচিত। যদিও আদালত শেষ পর্যন্ত জীবনকৃষ্ণকে জামিন দিয়েছে।
আরও পড়ুন। 'কয়েকজন বিজেপির হাতের পুতুল,' নির্বাচন কমিশনকে সম্মান জানিয়েও নিশানা মমতার
হাইকোর্টে খারিজ হয় জামিন
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার আগে জীবনকৃষ্ণের কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সময় তাঁর দুটি মোবাইল বাড়ির পিছনে পুকুরে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। পুকুর ছেঁচে ফেলে মোবাইল দুটিকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
আরও পড়ুন। ‘সৎ মানুষের কোনও ভয় থাকে না’, পিএ’র বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ খারিজ দেবের
প্রথমে তিনি কলকাতা হাইকোর্ট জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু হাইকোর্টে জামিন খারিজ হয়ে যায়। এর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত তাঁর আবেদন গ্রহণ করে সিবিআইকে হলফনামা দিতে বলে। তার পর একাধিকবার তাঁর জামিনের আর্জির শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার আদালতে তাঁর জামিন মিলল।
কেঁদে ফেললেন জীবনকৃষ্ণ
১৩ মাস পর জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। জেল সূত্রে খবর এই জামিনে খবর পেতই তিনি কেঁদে ফেলেন। ২৫ নম্বর সেলে বন্দি রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। সূত্রের খবর সেখানেই কেঁদে ফেলেন।
আরও পড়ুন। বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছেন সুভাষ, দরজা খুলতেই ধরিয়ে দিচ্ছেন হাতে লেখা চিঠি, অভিনব প্রচার