হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি বিধানসভার ইন্ডাস্ট্রি,কমার্স অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিধায়ককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। একটি কর্মসূচি থেকে ফিরছিলেন তিনি। পথেই হঠাৎ অসুস্থবোধ করতে থাকেন তিনি। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। আজ, বৃহস্পতিবার অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে শিল্পতালুক পরিদর্শন করতে বেরিয়েছিলেন বলে খবর।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর থেকে বর্ধমান ফিরছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। পথে কানাইচন্দ্র মণ্ডল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাঁকে গলসির পুরষা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিধায়ককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর এই অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনেই বর্ধমান হাসপাতালে ছুটে যান রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য উজ্জ্বল প্রামাণিক, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক খোকন দাস, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম এবং অন্যান্যরা। এই বিষয়ে রানাঘাটের বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় শিল্পতালুক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কমিটির সদস্যরা। তার পর সেখান থেকে পূর্ব বর্ধমান যাওয়ার পথে কানাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
আরও পড়ুন: বলি দিলেই এগিয়ে যাওয়ার পথ খুলবে, ভ্রাতৃবধূকে নৃশংস খুন ভাসুরের, চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য
অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুর্গাপুর থেকে গাড়িতে করে ফেরার পথে বুকে ব্যথা অনুভব করেন বিধায়ক। তাই তাঁকে পুরষা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই স্টাণ্ডিং কমিটি দুর্গাপুরের বিড়লা কর্পোরেশন লিমিটেড, গ্রাফাইট ইণ্ডিয়া লিমিটেড, এসআরএমবি টিএমটি, মাইথন স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড–সহ কয়েকটি কারখানা তাঁরা পরিদর্শন করেন। ফেরার পথে অসুস্থবোধ করেন কানাইবাবু। বর্ধমানের সার্কিট হাউসে বৃহস্পতিবার জেলাশাসক স্তরের একটি বৈঠক ছিল। সেখানেই যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কানাইচন্দ্র মণ্ডল।
এছাড়া কানাইচন্দ্র মণ্ডল আগে সিপিএমের সদস্য ছিলেন। নবগ্রাম থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন সিপিএমের টিকিটে। পরে শুভেন্দু অধিকারীর দৌলতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নবগ্রাম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জেতেন। জেলা স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, ‘এখন তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন। অল্প কথা বলতে পারছেন। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। কার্ডিওলজিস্ট এবং নিউরোলজিস্ট এসেছেন। ওঁর হঠাৎ বুকে ব্যথা হয় এবং কিছুটা খিঁচুনি হয়। এমআরআই না করলে সঠিক কী হয়েছে বোঝা যাবে না। পরীক্ষা করে দেখেছেন চিকিৎসকরা। ইসিজি রিপোর্ট ঠিকঠাক রয়েছে।’