এবার বধূনির্যাতনে অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁর পুত্র দিবাকরের স্ত্রী পিঙ্কি রায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পিঙ্কিদেবীর অভিযোগ, পণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন বিধায়কসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি সহ্যাতীত হয়ে ওঠায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল।
২০১৯ সালে ময়নাগুড়ির উল্লাডাবরি গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্কি রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের ছেলে দিবাকরের। দুই পরিবারের সম্মতিতেই সম্পন্ন হয় বিবাহ। পিঙ্কিদেবীর দাবি, বিয়েতে মোটা টাকা যৌতুক নিয়েছিলেন খগেশ্বরবাবু। সঙ্গে বাপের বাড়ি থেকে প্রচুর সোনার গয়নাও পেয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, তার পরও পুত্রবধূকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন খগেশ্বরবাবুর পরিবারের সদস্যরা। এমনকী সেজন্য মত্ত অবস্থায় তাঁকে স্বামী ও শ্বশুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন বলেও দাবি পিঙ্কিদেবীর।
খগেশ্বর রায়ের পুত্রবধূর দাবি, অধিকাংশ সময় তাঁর স্বামী ও শ্বশুর মত্ত অবস্থায় থাকেন। কিছুদিন আগে তাঁর শাশুড়ি তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন বলেও দাবি গৃহবধূর। সম্প্রতি নির্যাতন মাত্রা ছাড়ালে তিনি রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও অভিযোগের কোনও প্রতিলিপি দেখাতে পারেননি তিনি।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়ে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে নির্দিষ্ট আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা।’
ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। তিনি বলেন, ‘এটা পারিবারিক ব্যাপার। এব্যাপারে আমি কিছু বলবো না। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।’