এবার কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের মুখে শোনা গেল বোমা মারার হুমকি। আজ, রবিবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি আক্রমণ করলেন মদন মিত্র। নবান্ন অভিযান চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতাকে তুলোধনা করলেন তিনি। এই নিয়ে এখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক? নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপি শহরে তাণ্ডব করেছিল। পুলিশকে মারধর থেকে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল। উলটে তাদের দলের নেতা–কর্মীদের দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এল। এই গোটা ঘটনা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘যারা তাণ্ডব করছেন, গুন্ডামি করছেন, যারা বলছেন ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল। যদি দলের নির্দেশ আসে ১০ মিনিট লাগবে না ঘটি–বাটি মুড়িয়ে অন্য জায়গায় ফেরত পাঠিয়ে দেব। কিন্তু দল আমাকে প্রেম দিতে বলেছে। তাই কিছু করছি না।’
ঠিক কী ঘটেছিল নবান্ন অভিযানে? গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিন দিক দিয়ে নবান্ন ঘেরার লক্ষ্য ছিল বিজেপির। যা বাস্তবে ঘটেনি। পিটিএস থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহারা। কিন্তু শুরুতেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। তখন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু এবং অন্যান্যরা। তখন এক মহিলা পুলিশ কর্মী এগিয়ে এলে ফুঁসে ওঠেন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন? প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর লেডি, আই অ্যাম মেল।’ এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বয়ে গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার এই ই্স্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছেন মদন মিত্র। এবার শুভেন্দুকে একহাত নিয়ে মদন বলেন, ‘যদি দলের নির্দেশ আসে ১০ মিনিট লাগবে না ঘটি–বাটি মুড়িয়ে অন্য জায়গায় ফেরত পাঠিয়ে দেব। কিন্তু দল বলেছে হিংসা নয়, সৃষ্টি চাই। তাণ্ডব নয়, প্রেম চাই। গুন্ডামি তো করাই যায়। এখনই একটা ছেলেকে নিয়ে দুটো মোটরবাইক নিয়ে চারটে বোমা মারলে সব ফাঁকা হয়ে যাবে। কিন্তু তাতে কৃতিত্ব কিছু নেই।’