এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। দু’দিন আগেই ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমুল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র। তৃণমূল কংগ্রেস প্রস্তুত আছে বিজেপিকে মোকাবিলা করার বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি দলটা থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মদন।
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন কালারফুল নেতা মদন মিত্র। এদিন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে বীরভূমে মদন মিত্র বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে যদি বিজেপি কোনও বদমাইশি করার চেষ্টা করে তাহলে হাজার হাজার তৃণমুল কর্মী রক্ত দিয়ে, প্রাণ বিসর্জন দিয়ে সেটার মোকাবিলা করবে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিজেপি যা করেছিল তখন কংগ্রেসে থেকে কার্ফুর মধ্যে ২০ হাজার মানুষের খাবার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়েছিলেন। এবার তেমন কিছু করতে চাইলে ওরা যেন মনে রাখে এখন কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেই গণ্ডগোল মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত।’
ঠিক কী বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা? এই ডিসেম্বর মাস নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের ১২, ১৪ এবং ২১ এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। শুধু অপেক্ষা করুন আর দেখতে থাকুন।’ এই তিনটি তারিখে রাজ্যে এমন কিছু ঘটবে যাতে সরকার বিপাকে পড়ে যাবে। এমনই বোঝাতে চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগেও তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বর মাসে সরকার পড়ে যাবে। লেম অ্যান্ড ডাক সরকারে পরিণত হবে। এমনকী বড় ডাকাত ধরা পড়বে। এখন দেখার এই তিনটি তারিখে ঠিক কী ঘটে।
মদনের পাল্টা মন্তব্য ঠিক কী? এই তিনটি তারিখ প্রসঙ্গে কামারহাটির বিধায়ক পাল্টা বলেন, ‘এটা ডিসেম্বর মাস। গোটা মাসটা বিজেপি দলটা পশ্চিমবঙ্গে থাকবে কিনা আমি জানি না। অভিষেক লিস্টটা করছে না। একবার যদি সেটা করে ফেলে তাহলে আর মুখ লুকাবার জায়গা থাকবে না। ওরা কি যীশুখৃষ্টের জন্মদিন পালন করবে বলছে! শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুভেন্দু শাস্ত্রী হয়ে গেল। হাত গণনায় চলে গিয়েছে। চুণী পান্নায় চলে গিয়েছে। ওই দিনগুলিতে বিজেপি কিছু ধারণ করবে। তবে যদি সেটা অস্ত্র ধারণ হয় তাহলে সেটা অসাধারণ হয়ে যাবে। বিজেপি অস্ত্র ব্যবহার করলে তা ভোঁতা করতে আমরা জানি। এখন মানুষ দেখতে পাচ্ছেন উন্নয়ন, তোরণ আর মাখনের মতো পালিশ করা রাস্তা—ওহ লাভলি।’