দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান পেয়েও বহু মণ্ডপে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধন্যবাদজ্ঞাপন ব্যানার। এ নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান নিয়েও অনেক পুজো কমিটি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ন্যূনতম সৌজন্য দেখাচ্ছে না। তাই এবার তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, যেসব কমিটি ব্যানার দেয়নি, তাদের যেন আগামী বছর পুজোর অনুদান থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই আবেদন তিনি প্রশাসনের কাছে করবেন। এনিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: পুজোর অনুদান নিয়ে মমতার ঘোষণার বিরোধিতা, সেই টাকাই নিচ্ছে বিজেপি নেতাদের কমিটি!
জানা যাচ্ছে, রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত বিজয়া সম্মিলনীতে এই বক্তব্য দেন বিধায়ক নিশীথ মালিক। সেখানে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি পুজো কমিটিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। এই টাকাই অনেক গ্রামের ছোট পুজোগুলিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও উৎসবকে সুন্দরভাবে করার সুযোগ দিয়েছেন।
এরপরই একাধিক পুজো কমিটির আচরণে স্পষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও যোগ করেন, অনেক ক্লাব মুখ্যমন্ত্রীর টাকা নিয়েছে, কিন্তু কোথাও একটা ধন্যবাদ জানানোর ব্যানার পর্যন্ত লাগায়নি। এটা ঠিক নয়। যারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয়নি বা তাঁর ছবি সম্বলিত ব্যানার টাঙায়নি, তারা যেন আগামী বছর অনুদান না পায় তার জন্য তিনি জেলাপ্রশাসনের কাছে সেই অনুরোধ করবেন। নিজের বিধানসভা এলাকার পুজো কমিটিগুলির প্রসঙ্গ তুলে নিশীথ মালিক বলেন, তাঁর এলাকাতেও বহু পুজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া টাকা নিয়ে নীরব থেকেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নামটাও উচ্চারণ করেনি। এই অন্যায় বরদাস্ত করা যায় না।
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। বিজেপির পাল্টা আক্রমণ, এই অনুদানের টাকা তো মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নয়, এটা করদাতাদের অর্থ থেকে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কোষাগার থেকে আসা অর্থের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কাউকে ধন্যবাদ জানানো বা ব্যানার লাগানো বাধ্যতামূলক নয়। এখন নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিধায়করা নিজেদের জায়গা পাকা করতে মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি রাখার চেষ্টা করছেন।