ডিএ আন্দোলন এখন চলছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার দিন সেটা আরও বড় আকার নেবে বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে হুগলি জেলার বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বিতর্ক তৈরি করলেন। তিনি আগেও নানা কথা পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্কও তৈরি করেছিলেন। একবার তিনি একথাও জানিয়েছিলেন যে ফেসবুক আর করবেন না। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। আজ, বুধবার সকালে তিনি আবারও পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সেই পোস্ট একদিকে বিতর্কিত অন্যদিকে আক্রমণাত্মক।
বিষয়টা ঠিক কী ঘটেছে? বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন বাংলার মাটিতে চলছে। আর সেটাকে মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী–সহ একাধিক মন্ত্রীর বক্তব্যে সেটা প্রকাশ পেয়েছে। তবে নিজেদের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চি সরতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেখানে বারবার পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। তার মধ্যেই বুধবার সকালে ডিএ আন্দোলনকারীদের বিঁধে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
ঠিক কী লিখেছেন ফেসবুকে? বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী আজ কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ডিএ আন্দোলনকারীদের। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘পাতে পোলাও আছে, তাও ঘিয়ের জন্য ঘেউ ঘেউ করছে একদল। একদল লোকের পাতে পোলাও–মাংস আছে। তাঁরা ঘেউ ঘেউ করছেন। বলছে পোলাওয়ে ঘি কম। আরও ঘি ঢালতে হবে। আর একদল যারা খালি পেটে গামছা বেঁধে রাতে ঘুমাতে যায়। আমি সবদিন ওই না খাওয়া লোকটির জন্য লড়েছি আর লড়ব। ঘি বাবুর লড়াইয়ে সে হারবে, না জিতবে আমার কিছু যায় আসে না।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘেউ ঘেউ কথাটি বহুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল। এবার ডিএ কথাটি তিনি সরাসরি উল্লেখ না করে ঘি–কে সামনে তুলে ধরেছেন। এই ফেসবুক পোস্টে তিনি কারও নাম নেননি এবং কাউকে ট্যাগও করেননি। তবে ডিএ আন্দোলন বাড়তি মাত্রা নেওয়ায় মনোরঞ্জনের তির সেদিকেই বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই পোস্টের পর নেটাগরিকরা বিধায়ককে ধুয়ে দিয়েছেন। কেউ লেখেন, ‘আপনার বিধায়ক ভাতা এলাকার ভাত না পাওয়া মানুষদের দান করুন। সেই নথি এখানে পোস্ট করুন। আর যে সরকারি সুবিধা ভোগ করেন সেগুলিও ছাড়ুন।’ কেউ লিখেছেন, ‘বাম আমলে বিধায়কদের মাইনে কত ছিল? আর আজ আপনি কত টাকা মাইনে তুলছেন? মনে করুন। ভেবেছিলাম আপনি ভদ্রলোক।’