ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ককে খুনের চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেল। জেলে বসেই খুনের পরিকল্পনার ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। এবার তা প্রকাশ্যে এসে গেল। জেল থেকে বেরিয়েই খুন করার নীল–নকশা তৈরি করেছিল তারা। এই ঘটনার মূলচক্রী চিরঞ্জিত হালদার ওরফে চিরণ। ৬ মাস আগে ক্যানিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কমল মল্লিককে খুনের অভিযোগ ওঠে এই চিরণ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এই ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত চিরণ–সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। বিচারে জেল হয় চিরণের। কিন্তু জেলে থাকাকালীনই বিধায়ক পরেশরাম দাসকে খুনের পরিকল্পনা করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এখন এই চিরণ জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সে মুম্বই আছে বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ।
ঠিক কী পরিকল্পনা চিরণের? মুম্বই থেকেই এই খুনের পরিকল্পনা করেছে চিরণ। তার জন্য গোটা পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় মনিরুল নামে বাসন্তীর এক যুবককে সঙ্গী করেছে চিরণ। এই পরিকল্পনার কথাই মনিরুল নিজে বিধায়ককে ফোন করে জানিয়ে দেন। তখনই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিধায়কের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ এবং জেলার পুলিশ সুপার–সহ অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানান বিধায়ক পরেশরাম দাস। পরেশের দাবি অভিযুক্তরা বিজেপি আশ্রিত। তাই তারা খুন করতে চায় তাঁকে। যদিও এই ঘটনায় বিজেপি জড়িত নয় বলে তারা জানিয়েছেন। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলেই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সদস্য সুনীপ দাস।