তৃণমূলে ফের বিদ্রোহী বিধায়ক। এবার একযোগে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ও জেলা সভাপতিকে বিঁধলেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ। তাঁর কটাক্ষ, ‘নিজের বুথে জিততে পারে না এমন অনেকে তৃণমূলের নেতা হয়ে বসে রয়েছে।’
রবিবার বহরমপুরের কাঁটাবাগান এলাকায় দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বিদ্রোহের সুর চড়ান নিয়ামত সাহেব। সেখানে জেলা সভাপতি আবু তাহেরের উপস্থিতিতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানান তিনি। সঙ্গে আক্রমণ করেন প্রশান্ত কিশোরকেও।
নিয়ামত শেখ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল অভিভাবকহীন। শুভেন্দুবাবু সিপিএম – কংগ্রেস থেকে নেতাদের তৃণমূলে এনেছিলেন। আবু তাহেরও শুভেন্দুবাবুর হাত ধরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন। আজ শুভেন্দুবাবুকেই দলের ভিতরে কটাক্ষ করা হচ্ছে। শুভেন্দুবাবু পর্যবেক্ষক থাকাকালীন দলের সুখ-দুঃখ তাঁর কাছে বলা যেত। সংগঠন কী করে করতে হয় তা ভাল জানেন শুভেন্দুবাবু।
সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোর জেলায় কাউকে চেনেন না। তিনিই দলের কো অর্ডিনেটর বাছছেন। নিজের বুথে জিততে পারে না এমন লোককে মাথার ওপর বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
আবু তাহেরের সমালোচনা করে নিয়ামত সাহেব বলেন, ‘রানিনগরে তৃণমূল কর্মী খুন হলেও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি আপনি। যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছে বিপদে তাঁরা নেতাদের পাশে পাচ্ছে না। এটা ঠিক নয়।’
জবাবে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘দলের নেতারা তাঁদের কাজ করবেন। প্রশান্ত কিশোর তাঁর কাজ করবেন। এখানে কোনও বিরোধ নেই।’ রানিনগরে তৃণমূল কর্মী খুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই কর্মী অসামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। তাই যাইনি।