দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করে জল্পনা ও দলের অস্বস্তির পারদ চড়িয়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী।
শনিবার তাঁর উপরে ন্যস্ত দলের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার ঘোষণা করেন বিধায়ক। একই সঙ্গে তৃণমূলের জেলা ও ব্লক কমিটির হালফিলের কার্যকলাপ নিয়েও পর পর তোপ দেগেছেন মিহির।
এতেই না থেমে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও। জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতেও নির্দেশ দিতে পারেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় নেতার এ হেন পদক্ষেপে স্বাভাবিক কারণেই চরম অস্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তৃণমূলের জেলা ও ব্লক কমিটিতে রদবদল নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। অভ্যন্তরীণ এই দ্বন্দ্বের জেরেই দায়িত্ব ছেড়েছেন মিহিরবাবু, স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের এমনই ধারণা।
সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব থছেকে অব্যাহতি নেওয়ার পরে মিহির গোস্বামী মন্তব্য করেছেন, ‘পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বহু বার অপমানিত হয়েছি, কিন্তু তবু দলে ছিলাম। কিন্তু আর সহ্য করা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। অতীতে যাঁরা দলের ক্ষতি করেছেন, পরে তাঁরাই পুরস্কৃত হয়েছেন। জেলা ও ব্লক কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
বিশেষ করে দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মিহির গোস্বামী দাবি করেছেন, সব জেনেও চুপ থেকেছে দলীয় নেতৃত্ব। প্রতিবাদে সাংগঠনিক সমস্ত দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ পেলে বিধায়ক পদ ছাড়তেও তিনি প্রস্তুত, জানিয়েছেন মিহিরবাবু।
দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় ও রাজ্যের নানান ঘটনার জেরে আপাতত কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে বিরোধী বিজেপি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঘরছাড়াদের গেরুয়া শিবির থেকে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় কোচবিহারের বিধায়কের হঠাৎ দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির।