গরু পাচারকাণ্ড নিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ। শাহনাওয়াজ এই বিষয়ে বলেন, ‘বীরভূমের পর মুর্শিদাবাদ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া সব পেরিয়ে গরু পাচার হয় বিভিন্ন জায়গায়। সেই সব জেলার প্রশাসন, পুলিশ, সমস্ত রাজনৈতিক নেতা হয়েই এই ব্যাপারগুলো হয়।’
উল্লেখ্য, কেতুগ্রাম বিধানসভা পূর্ব বর্ধমান জেলায় হলেও তৃণমূলের সাংগঠনিক কাঠামোয় এটি অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে ছিল। এই আবহে তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য রাজনৈতিক ভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। শাহনাওয়াজ বলেন, ‘গরু পাচার তো সারা পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম হচ্ছে না? বিভিন্ন জায়গায় এটা হচ্ছে। যেখানে যেখানে হচ্ছে, তার নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে, সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কীভাবে এই পাচার হয়েছে সেটার তদন্ত করতে হবে। বেআইনি কাজ নিঃসন্দেহে বন্ধ হওয়া দরকার।’
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গরুপাচারের তদন্তে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে নথিভুক্ত ১৬২টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তাতে অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামেই রয়েছে ৬২টি সম্পত্তি। এছাড়া অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের নামে রয়েছে ৪৭টি সম্পত্তি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎ গায়েনের নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি। বিদ্যুতের স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩টি সম্পত্তি। অনুব্রতর আরেক ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষ ও তাঁর পরিবারের নামে রয়েছে ১৮টি সম্পত্তি। সিবিআই সূত্রে খবর, এই সম্পত্তির কতগুলি গরুপাচারের টাকায় কেনা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। প্রমাণ পেলে সেই সম্পত্তিগুলি অ্যাটাচ করবেন তাঁরা।