মদ্যপান করার সময় মেজাজটাই পাল্টে যায়। তাই স্থান–কাল–পাত্র অনেকেই ভুলে মেরে দেন। এবার এমনই একটা ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে বিতর্ক সপ্তমে উঠেছে। বিধায়কের ছেলে সরকারি হাসপাতাল চত্বরে বসে মদ্যপান করছিল বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তখনই জানাজানি হয় ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদারের ছেলে সৌম্য গ্রেফতার হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, ভরদুপুরে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে বসেই সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মদ্যপান করছিলেন সৌম্য। পুলিশ বিধায়ক পুত্র এবং তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে বমাল গ্রেফতার করে সেখান থেকে। তবে মুহূর্তের মধ্যেই থানা থেকে জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা? অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
জানা গিয়েছে, সৌম্য নিজে একজন আইনজীবী। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে বসে মদ্যপান করতে গেলেন কেম? এই নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশও। সূত্রের খবর, তিনি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের একটি ঝিলে বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে এসেছিলেন। সেই মাছ ধরার সঙ্গেই চলছিল দেদার মদ্যপান। পুলিশ সূত্রে খবর, মদের ফোয়ারায় তিনি কাউকে চিনতেই পারছিলেন না। খবর পেয়ে সেখানে যান ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। আর সৌম্যকে তিনি হাতেনাতে ধরেন। এই বিষয়ে ছেলেকে সমর্থন করেননি বিধায়ক বাবা। বরং পান্নালালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে মদ্যপান করা বেআইনি। আইন আইনের পথেই চলবে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধু বিধায়ক পুত্রই নয়, অনেকেই হাসপাতালের চত্বরে মাছ ধরতে এসেছিলেন। আর মদ্যপান করছিলেন। তবে শুধু সৌম্য এবং তাঁর সঙ্গীদের ধরা হলো। বাকিদের কেন থাড় দেওয়া হলো? বোঝা যাচ্ছে না। আবার ধরাই যদি হলো তাহলে তড়িঘড়ি অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গেলেন কী ভাবে? উঠছে প্রশ্ন।