স্কুল খুলল আজকে থেকে। এর আগে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি তুঙ্গে ছিল। এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানেও জোর তোড়জোর দেখা যায় স্কুল খোলাকে নিয়ে। আর স্কুল খোলার আগে একটি স্কুলে স্যানিটাইজার টানেল বসাতে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিল তৃণমূলের অন্দরে। দ্বন্দ্ব সংঘর্ষের আকার ধারণ করে বলে জানা যায়। আর এই সংঘর্ষে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে অভিনেতা শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ নিজেকে বর্ধমান পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের আহ্বায়ক বলে দাবি করেন। তাঁর সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয় বর্ধমান পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ আলি ও তার সহযোগীদের। সংঘর্ষে দেবপ্রসাদবাবু ছাড়াও জখম হয়েছেন আরও চার তৃণমূল কর্মী। আক্রান্তদের নাম শেখ হায়দার আলি, শেখ খোকন, শশীরাম ও গোবিন্দা মাল। সংঘর্ষের জেরে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। ঘটনায় স্যানিটাইজার টানেলটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের শ্বশুর দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতির প্রেক্ষিতেই স্যানিটাইজার টানেল বসাতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ আলি ও তাঁর ভাইপো তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা নুরুল আলম দেবপ্রসাদবাবুকে কাজে বাধা দেন। তাঁদের দাবি ছিল, ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত নামে স্যানিটাইজার টানেল বসানো যাবে না স্কুলে। এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। এরই মাঝে বন্দুক, লাঠি ও রড নিয়ে তাঁদের হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন শুভশ্রীর বাবা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন দেবপ্রসাদবাবু।