শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পর এবার তৃণমূল ছাড়লেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। শুক্রবার সকালে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফাপত্র ই–মেল মারফত পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। শীলভদ্র দত্ত দলের সমস্ত সদস্যপদ থেকে ইস্তফা চেয়ে দ্রুত তা বলবৎ করার অনুরোধ জানিয়েছেন চিঠিতে।
দল ছাড়ার পরপরই এদিন নিজের কার্যালয় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দর ছবি লাগিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও দলে নেই তাই ওই দলের প্রতীক সরিয়ে দিয়েছি। বিবেকানন্দ তো সব সময় সম্মানীয় তাই তাঁর ছবি লাগিয়েছি।’
দল ছাড়লেও আপাতত বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না শীলভদ্র দত্ত। এ ব্যাপারে তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘মানুষের ভোটে জিতেছি। আমি যদি বিধায়ক পদ ছেড়ে দিই তা হলে এই মানুষগুলো কী করবে? মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’ তবে তাঁর সরকারি গাড়ি তিনি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়ে এদিন শীলভদ্র দত্ত বলেন, ‘গাড়ি ছাড়লেও এখনও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়িনি। সরকার নিতে চাইলে নিয়ে নেবে।’
কিন্তু কেন দল ছাড়লেন? উত্তরে ব্যারাকপুরের বিধায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, এই সময়ে এই রাজনৈতিক অবস্থায় দলে থাকা আমার ঠিক নয়। তাই পদত্যাগ করেছি।’ শুভেন্দু অধিকারীর মতো শীলভদ্র দত্তও দল ছাড়ার কোনও কারণ তাঁর পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেননি। কেন দলত্যাগ তা না জানানোর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এত বড় লিখলে কেউ চিঠি পড়ে না। নেত্রীর জানা উচিত কেন দল ছাড়লাম।’
এর আগে একাধিকবার বিভিন্নভাবে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। প্রশান্ত কিশোরের বিরোধিতার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন জানিয়েছেন। জোর জল্পনা, শনিবার অমিত শাহয়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন শুভেন্দু। সেই পথেও কি শীলভদ্র? তা নিয়ে এদিন কিছু খোলসা করেননি তিনি। শুধু বলেছেন, ‘যদি বিজেপি–তে যাই বলে দেব।’