মৃত্যু হল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ফলতার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের। বুধবার সকালে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০।
কাজের সূত্রে গত মাসে দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান তমোনাশ। সেখান থেকে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। গত ২৪ মে তাঁকে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তীব্র শ্বাসকষ্টের জন্য প্রথম থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় কোষাধ্যক্ষকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তমোনাশের রক্তে সুগারের মাত্রা অত্যধিক বেশি ছিল। ওষুধ দিয়ে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। পরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে থাকার কারণে তাঁর গলায় সংক্রমণ হয়েছিল। গত তিনদিন তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। তারপর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিয়োর হয়ে বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ফলতার তিনবারের বিধায়কের।
দলের অন্যতম পুরনো সৈনিকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত ১৭ জুন নবান্নে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলে ছিলেন তিনি। মমতার একাধিক আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছেন। দাপুটে রাজনীতিবিদ ছাড়াও এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবেও পরিচিতি ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমোরও আস্থাভাজন ছিলেন।
আর বুধবার সকালে দলের সেই বিশ্বস্ত সৈনিকের মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। টুইটারে তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক, অত্যন্ত দুঃখজনক। আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ফলতার তিনবারের বিধায়ক এবং ১৯৯৮ সাল থেকে দলের কোষাধ্যক্ষ তমোনাশ ঘোষ। আমাদের সঙ্গে ৩৫ বছরের বেশি ছিলেন। মানুষ এবং দলের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। সামাজিক কাজে তিনি বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন। তিনি একটা শূন্যস্থান তৈরি হল, যা পূরণ করা কঠিন। আমাদের সকলের তরফ থেকে তাঁর স্ত্রী ঝর্ণা, দুই মেয়ে, বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তৃণমূল বিধায়কের দুই মেয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তাঁরা সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু জীবনযুদ্ধে হার মানতে হল তমোনাশকে।